টেকনাফ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রতিবাদ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও-আইএনজিও পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্পে কর্মরত উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় শিক্ষকদের অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির টেকনাফ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা রফিকুল্লাহ ও সেক্রেটারী মাওলানা ফোরকান আহমদ শনিবার (০১ জুন) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রেরণ করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃদ্বয় বলেন, স্থানীয় নিভরযোগ্য একাধিক সূত্রে আমরা অবগত হয়েছি যে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও-আইএনজিও পরিচালিত শিক্ষা প্রকল্প থেকে ১২৫০ জন স্থানীয় শিক্ষককে প্রকল্প মিনিমাইজড’ ও বাজেট সংকট দেখিয়ে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা মনে করি স্থানীয়দের সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও-আইএনজিও’র এ ধরনের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অমানবিক ও বৈষম্যমূলক। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট এনজিও-আইএনজিও’র প্রতি আমাদের জোর দাবি, স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন এবং যেকোন সংস্থার চাকরিতে স্থানীয়দের ন্যায্য অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করুন।
জামায়াত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাজেট সংকটের নামে জনবল ছাঁটায়ের নামে স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করার মানসিকতা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পরিহার করতে হবে। ২০১৭ সালে এবং অতীতের যেকোন সময়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সবার আগে আশ্রয় দিয়েছে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় জনগণ। সুতরাং নিজেদের স্বার্থ ছাড় দিয়ে মানবিকতার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ কোনভাবে কাম্য নয়।