টেকনাফ প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক গঠিত আহবায়ক কমিটির আবুল কালাম আজাদ ও সাইফীর বিরুদ্ধে মামলা
টেকনাফ প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটির মেয়াদ থাকতে অবৈধভাবে তালা ভেঙ্গে জোর পূর্বক প্রবেশ করে গঠিত আহবায়ক কমিটিকে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদান করেছে আদালত।
গত মঙ্গলবার টেকনাফ সহকারি জজ আদালতের বিচারক সেজুঁতি জান্নাত এই আদেশ প্রদান করেন। একই দিন সংশ্লিষ্ট আদালতের সেরেস্তাদার স্বাক্ষারিত নোটিশ পাঠানো হয়েছে টেকনাফ প্রেসক্লাবের অবৈধভাবে গঠিত কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম সাইফীর কাছে। নোটিশটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে কারণ দর্শনোর জন্য বলা হয়েছে।
টেকনাফ প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে দায়ের করা অপর-৭৩/২০২৫ নম্বর মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এমন আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, টেকনাফ প্রেসক্লাব ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নিজস্ব গঠণতন্ত্রের আলোকে পরিচালিত সংগঠনে টেকনাফ উপজেলায় অন্তর্গত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়ায় সংযুক্ত সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিকরা রয়েছেন। গত ৩১ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি ভোটে মো. আব্দুল্লাহ মনির সভাপতি নির্বাচিত ও মামলার বাদী আব্দুস সালাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। যেখানে আবুল কালাম আজাদ সদস্য ও সাইফুল ইসলাম সাইফী কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ১৯ সদস্য বিশিষ্ঠ কার্যকরী পরিষদ ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে উক্ত কমিটি গঠিত হয়। একই দিন টেকনাফ প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সদস্য দ্বারা রেজুলেশনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটিকে অনুমোদন করা হয়। যেখানে রেজুলেশানে আবুল কালাম আজাদ ও সাইফুল ইসলাম সাইফী নিজেই স্বাক্ষর করেন।
এতে বলা হয়েছে, নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর ২৬ এপ্রিল সাধারণ সভায় সভাপতি মো. আবদুল্লাহ মনিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায়ও আবুল কালাম আজাদ ও সাইফুল ইসলাম সাইফী উপস্থিতির স্বাক্ষর করেন। কিন্তু এর মধ্যে গত ২১ মে দুই জনের নেতৃত্বে কতিপয় লোকজন নির্বাচিত বৈধ কমিটিকে অস্বীকার করিয়া প্রেসক্লাবের তালা ভেঙ্গে জোর পূর্বক প্রবেশ করে। এরপর ক্লাব দখল করে অবৈধ কার্য ও প্রেস ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকান্ড শুরু করে। যেখানে একটি আহবায়ক কমিটিও ঘোষণা করে। যা বেআইনী।
আবেদনের প্রেক্ষিতে অপর মামলা রেকর্ড করে কারণ দর্শনোর নোটিশটি প্রদান করেছে আদালত।##