৮ বছর ধরে তাহিয়া-তকির প্রেমের সম্পর্ক। টাকা ও স্বর্ণের লোভে তাহিয়া কে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। ছেলে ও ছেলের পরিবার কে হুমকি।
তাহিয়া আক্তার সম্পর্কে তকি’র খালাতবোন। তাহিয়া সাবেক শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা বর্তমান হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ ও আছিয়ার মেয়ে। ২০১৭ সাল থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
তাদের প্রেমের সম্পর্ক দুই পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে উভয় পরিবারের পিতা মাতা বসে সম্মতিক্রমে তাদের বিয়ে দেওয়ার কথা হয়।
কিছুদিন যেতে না যেতেই ২০ মে ১০ ভরি স্বর্ণের দাবি তুলে
মেয়ের মা আছিয়া ছেলেকে ফোন করে মেয়েকে ১০ ভরি স্বর্ণ দিতে হবে বলে দাবি করেন। দিতে না পারলে অন্যদিকে বিয়ে দিয়ে দেব বলে হুমকি দেন।
তকির ১০ ভরি স্বর্ণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বার বার হুমকি মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ফোনে কথা বলার সময় পাশে বসে থাকা মেয়ের বাবা দিল মোহাম্মদ ফারিহা হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন,আমার ভাই ব্রাদার,ভাতিজারা তোমাকে পেলে সাইজ করবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
তকির জানান, আমাদের দুইজনের সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে নিয়ে ছিল। মেয়ের মা টাকাও স্বর্ণের লোভে অন্যদিকে বিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি ৫ বছরের চাকরির টাকা সব ওর পেছনে খরচ করে ফেলেছি। ওকে আমি বিয়ে করবো বলে। আমরা দুইজন এখনো একজন আরেকজনেরকে ঠিক আছি। মেয়ের মা টাকার লোভে পড়ে অন্যদিকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সঠিক বিচার চাই।আমি তাহিয়া কে না পেলে আত্মহত্যা করব। তখন ওর মা বাবা দায়ী থাকবে।
সর্বশেষ হুমকি দেয় তাহিয়ার মামা ইউনুছ। তকি “তুমি কোথায়,তোমাকে শেষ করবো” বলে হুমি দেওয়া হচ্ছে। তাহিয়া কে হুমকি দাতা ইউনুছ জবাই করে খুন করে তকি কে আসামি করবে বলেও হুমকি দেয়।
যার অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত আছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬ টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলা জামিয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসায় পিতার রুমে
তথা তৎকালীন নায়েবে মুহতামিম মুফতি আলী আহমদ এর রুমে নাস্তা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ৮ বছরের শিশু ফারিহাকে হত্যা করে এরফান। উক্ত এরফান মৌলভি দিল মোহাম্মদের বড় ভাই মুফতি আলী আহমদের ছেলে।
বর্তমানে এরফান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছে।
তকির ও তকিরের পরিবার কে হুমকি বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য দিল মোহাম্মদ কে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।