পরে টেকনাফ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আলী হোসেন (৪০), ফজর রহমানের ছেলে, মাছটি কিনে নেন। তিনি জানান, পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাজারে ছোট-বড় ইলিশের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। এত বড় ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। অনেকদিন পর এমন একটি বড় ইলিশ পেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি মাছটি ৬ হাজার টাকায় কিনেছি। এখন সামান্য লাভ রেখে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চাই। মাছটি এক নজর দেখতে বাজারে ভিড় জমিয়েছেন অনেকে।
জেলে মোহাম্মদ আলি বলেন, অনেকদিন পর নাফ নদীতে জাল ফেলেছিলাম। বড় এই ইলিশটি জালে পড়ায় খুবই খুশি হয়েছি। এখন নদীতে এমনিতেই মাছ কম ধরা পড়ে, তাই এমন বড় মাছ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
টেকনাফ বাসস্টেশন বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম দেখা যায়। পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে মাছের চাহিদা ও দাম দুই-ই বেড়েছে।
তবে ক্রেতাদের অনেকে বলছেন, এত দামে ইলিশ বিক্রি করা যুক্তিযুক্ত নয়। তারা বলেন, পহেলা বৈশাখে ইলিশের পরিবর্তে ফাইসা বা পোপা মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খেলে অসুবিধা কী? বর্তমান বাজারে এক টুকরো ইলিশের দাম সাড়ে ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা—এটা তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ভালো খবর। সাধারণত এই সাইজের ইলিশ গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। তবে নাফ নদীতে পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় মাছ ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। মোহনা খনন ও জালের প্রশস্ততা বাড়ালে ভবিষ্যতে আরও বড় ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করা যায়।