স’ন্ত্রা:’সী কায়দায় জমি দ’খ’লে নিতে মরিয় ইসমাইল বাহিন
টেকনাফ সদরের বড় হাবিব পাড়া এলাকায় জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । দাড়ালো অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসমাইল ও তার বাহিনী। এটি গত শুক্রবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জমির মালিক নাহিদুল হাসান বাদী হয়ে সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার মোঃ ইসমাইল, তার পুএ মাহমুদ ও রবিকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হইয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার মোঃ ইসমাইল, তার পুএ মাহমুদ ও রবিসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের জমি জোর পূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা করার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করার চেষ্টা চালায়। আমাদের দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমিতে ঘেরা দিয়ে জোর পূবক দখল করা হচেছ।এই খবরে টেকনাফ মডেল থানার এসআই নাজমুল হাসানের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতির কারনে জমিটি সম্পূর্ণভাবে দখল করতে পারেনি বলে অভিযোগকারী জানায়।
অভিযেগকারী নাহিদুল হাসান বলেন, আমার চাচা আহমদ হোছন ও জালাল আহমদ ৪৪০ নং দলিল মূলে খরিদা করেন। বিএস ৮৪৫ খতিয়ানে বি.এস দাগ ২০০৫৬ ও ২০০৫৮ দাগের রেকর্ড ও দখলীয় জমি। বিগত ২৬/০৭/১৯৯৮ সালে ৯৬৬ দলিল মূলে আমরা খরিদ করিয়া বিএস ৩৩৯৩ সৃজিত খতিয়ান আমাদের নামে সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ৮৪৫ খতিয়ানে আমার বাবা নুর আহম্মদ চেয়ারম্যানের রেকর্ডীয় জমি হয়।
উক্ত জমি দীঘ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসতেছি। উক্ত জমির দিয়ারা জরিপ কালীন সময়ে আমাদের পাশ্ববর্তী অজিয়র রহমানের নামে দিয়ারা রেকর্ড চূড়ান্ত করে দেয়। পরবর্তীতে অজিয়র রহমানের ওয়ারিশগণ থেকে গত ১৮/০২/২৫ ইং তারিখ ৪৭৪ দলিল মূলে আমরা খরিদ করি। উক্ত জমি নিয়ে ১০৪২৮ নং দিয়ারা খতিয়ান আমাদের নামে সৃজিত হয়।
তিনি আরো জানান, গত ৭ এপ্রিল টেকনাফ ভুমি অফিসের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করেন। এমনকি আমাকে ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আমি থানায় তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও করেছি।
এছাড়া ১৬ জানুয়ারি সাবরাং উত্তর নয়াপাড়া এলাকার আলী মিয়ার ভোগ দখলীয় জমি হইতে দুইটি বড় আকারের গাছ কেটে বসতভিটা জবরদখল চেষ্টা করেছিল। সেসময় আলী মিয়া তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। উক্ত ইসমাইল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো একাদিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এবং ফের জবরদখলের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।