কক্সবাজার টেকনাফে পৃথক দুটি যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৫ জন মাদক কারবারীকে আটক কোস্টগার্ড ও র্যাব একটি দল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- মো শফি (১৭), শফি উল্লাহ (৪৬), বশির আহমেদ (৩৫), মো রফিক (২৪) এবং মন্জুর আলম (৩০)। তারা সকলেই টেকনাফের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেন সন্ধ্যায় কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ সিয়াম-উল-হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, আজ সোমবার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং জিরো পয়েন্ট সমুদ্র এলাকা দিয়ে একটি ইয়াবার বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ, আউটপোস্ট শাহপরী ও র্যাব-১৫ সিপিসি-১ কর্তৃক ওই এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা কালে সন্দেহজনক ইঞ্জিন চালিত একটি কাঠের বোট তল্লাশি করে ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়িসহ ৫ জন মাদক কারবারীকে আটক করা হয়।
অপরদিকে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একইদিন মধ্যরাত ৩ টায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সাবরাং খূড়ের মুখ এলাকায় কোস্ট গার্ড ও র্যাবের সমন্বয়ে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে সন্দেহজনক একটি কাঠের নৌকা তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত একটি বস্তা থেকে ২লাখ পিস ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়। নৌকায় অবস্থানরত মাদক কারবারীরা যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সাঁতার কেটে তীরে উঠে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, অভিযান দ্বয়ে জব্দকৃত সকল ইয়াবা ও আটক ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ১০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ পাঁচজন পাচারকারীকে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।