খাওয়া-দাওয়া মানুষের চাহিদার কিন্তু কমতি নেই।
টক ঝাল ভালোবাসে না এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না। কেউ টক ঝাল খেতে দেখলে অন্য কারো জিহ্বায় জল চলে আসে সে মেয়ে বা পুরুষ।
এমন পরিস্থিতিতে যদি যদি নতুন কঁচা আম বাজারে পাওয়া যায়। তখন কি আর সামলানো যায়। যত টাকার বিনিময়ে হোক সে আম নিতেই হবে।
কক্সবাজার টেকনাফ পৌরসভার বাস স্টেশন সড়কের পাশে ফুটপাতে সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে মৌসুমের আগাম ফল কাঁচা আম।
আম প্রতি কেজিতে ছয় থেকে সাতটি আম ওজনে ধরছে। এক একটির আমের ওজন ১৫০ গ্রামের মতো। প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫০টাকায়। হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা আম দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন ভিড় করতে দেখা গেছে।।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া গ্রামের সব্বির আহমেদ নিজের বাগানের ২৫ কেজি কাঁচা আম নিয়ে সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ আসেন।
এসময় স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুল হোসাইন ও মোহাম্মদ কাছিম ছোট-বড় আমগুলো কেজি ৪০০টাকা দরে ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন আম গুলো কেজি হিসেবে বিক্রি করে ১৩ হাজার ৭ শত টাকায় বিক্রি করা যাবে। বিক্রি শেষ হলে ৩ হাজার ৭ শত টাকা লাভ হবে বলে আশা করেন ব্যবসায়ীরা।
বাগান মালিক সব্বির আহমদ বলেন, বাড়ির আঙিনায় কয়েক বছর ধরে তিনটি গাছে আগাম আম পাওয়া যাচ্ছে। আগাম ফল আশায় ভালো দামে আম বিক্রি হচ্ছে। গাছে আরও প্রচুর আম রয়েছে। আশেপাশের লোকজনের বাড়িতে এখনো আম গাছে মুকুল আসেনি।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা আম দেখতে পাওয়ার বিষয়টি অবিশ্বাসযোগ্য হলেও সত্য। বর্তমানে অধিকাংশ এলাকায় আম গাছে মুকুল আসেনি। এ সময় বাজারে কাঁচা আম পাওয়ায় অবিশ্বাসযোগ্য বিষয়।