বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ নভেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমেছে।
তবে ডিসেম্বরে খাদ্য খাতে স্বস্তি ফিরে আসেনি। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি কমলেও তা ১২ দশমিক ৯২ শতাংশে ছিল। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে, একই পরিমাণ খাদ্যপণ্য কিনতে গত ডিসেম্বরে ভোক্তাদের ১২ টাকা ৯২ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ; যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং নভেম্বরে এটা ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সাধারণ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি ডিসেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমেছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ; যা গত নভেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত খাতেও গত মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত নভেম্বরে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই দুই খাতের মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।
শহরের মতো গ্রামেও কমেছে মূল্যস্ফীতি। ডিসেম্বরে শহরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ; যা আগের মাসে ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত মাসে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ০৯ শতাংশ। নভেম্বর মাসে ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে এটা ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।