শিরোনাম :
তাহিয়া- তকির ৮ বছরের প্রেম টাকা ও স্বর্ণের লোভে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, ছেলের পরিবার কে হুমকি মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কোস্টগার্ড টেকনাফে মহিলা মেম্বারের উপর হামলার অভিযোগ সেলিম মেম্বারের বিরুদ্ধে দুই দিনের সফরে কক্সবাজারে আসলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে টেকনাফ যুবদলের প্রস্তুতি সভায় শাহজাহান চৌধুরী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ভারতে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা টেকনাফে বসেছে ‘ইয়াবা মেলা’ ইউএনও’র অনুমতিপত্র ও স্মারক নাম্বার জাল করে মিয়ানমারে নির্মাণ সামগ্রী পাচার জরুরি সংস্কার শেষেই দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে টেকনাফে পঁচনশীল পণ্য নিলামে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

শীতকালের অজু ও গোসলে বিশেষ সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক / ১১৬ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫

পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু ও গোসল করতে হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে কোন ভুলগুলো হলে অজু ও গোসল হবে না। অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক। অন্যথায় পবিত্রতা অর্জিত হবে না।

 

বিশেষ করে অজুর কোনো অঙ্গ সামান্যও শুকনা থেকে গেলে তার জন্য হাদিসে জাহান্নামের শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম।

 

তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনো মতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে। তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন।(বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)

অনেক সময় তাড়াহুড়া করে অজু করার কারণে মানুষের পায়ের গোড়ালি শুকনা থেকে যায়। বিশেষ করে শীতকালে এ ধরনের কাজ বেশি হয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অজু করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, যাতে কোনো অঙ্গ শুকনা না থেকে যায়। পবিত্রতা অর্জনে এমন উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ ফরজ গোসল ও অজুর সময় কোনো অঙ্গের সামান্য থেকে সামান্য পরিমাণ শুকনা থাকলে পবিত্রতা অর্জন হবে না।

 

এ বিষয়ে আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘মানুষ যদি পবিত্রতা অর্জনের অঙ্গে তৈলাক্ত বস্তু (তেল, ক্রিম) ব্যবহার করে, তাহলে দেখতে হবে যদি উক্ত তৈলাক্ত বস্তুটি জমাট বাঁধা ও আবরণবিশিষ্ট হয়, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের পূর্বে অবশ্যই তা দূর করতে হবে। যদি তৈলাক্ত বস্তু সেভাবেই জমাট বাঁধা অবস্থায় থেকে যায়, তাহলে তা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেবে। এতে করে তখন পবিত্রতা শুদ্ধ হবে না। কিন্তু যদি তৈলাক্ত বস্তুটির কোনো আবরণ না থাকে কিন্তু পবিত্রতার অঙ্গগুলোর ওপর সেগুলোর চিহ্ন অবশিষ্ট থেকে যায়, তাহলে তাতে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু এ অবস্থায় ওই অঙ্গের ওপর হাত ফিরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাধারণত তৈলাক্ত বস্তু থেকে পানি আলাদা থাকে। সুতরাং হতে পারে, পবিত্রতার ক্ষেত্রে পুরো অঙ্গে পানি পৌঁছবে না। (ফাতাওয়াত তাহারাহ, পৃষ্ঠা : ১৭৪)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!