হোয়াইক্যংয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভাংচুর ও জমি জবর দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে চিহ্নিত প্রতিপক্ষরা। এতে ভাংচুর করা হয়েছে ১২০ শতক জমির সীমানার খুঁটি। এমন অভিযোগ করেন জমির ভোগ দখলীয় মালিক হোয়াইক্যং মাঝেরপাড়ার মৃত আব্দু রাজ্জাকের ছেলে এম এ মান্নান।
আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া এলাকায় ১৯৭৬ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে ১২০ শতক জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করেছিল স্থানীয় আব্দু রাজ্জাক। ২০০৮ সালে রাজ্জাকের মৃত্যুর পর তার ছেলে এম এ মান্নান ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু জরিপে ভুল রেকর্ড হওয়ায় বিএস সংশোধনের মামলা করেন আব্দুল মান্নান। সম্প্রতি পাশ্ববর্তী এলাকার একদল ভুমিদস্যু তার এ ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে।
বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচরে আনা হলে বাদীকে বেদখল করা হতে বিরত থাকতে এবং স্থিতিবস্থার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পুলিশের নিকট তদন্তাধীনও রয়েছে। তারপরেও প্রতিপক্ষ বাদীকে বেদখল করতে ও হাকাঁবাকা অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ অতি সম্প্রতি রাতের আধারে এ জমির সীমানার বেশ কিছু খুটি ভাংচুরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
ক্ষতিগ্রস্থ ও ভোগদখলীয় মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পরবর্তী সময়ে ক্রয়সূত্রে আমার পিতা শান্তিপূর্ণভাবে ওই জমি ভোগ দখল করেছে। পিতার মৃত্যুর আমি ভোগ দখল করছি। সম্প্রতি জমির রেকর্ড ভুল হওয়াতে বিএস সংশোধনী মামলা করা হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে পাশ্ববর্তী এলাকার আবছার উদ্দিন ও কুতুব উদ্দিন গংরা আমার ভোগ দখলীয় জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। রাতের আধারে সীমানার বেশকিছু খুঁটি লোক চক্ষুর অন্তরালে ভাংচুর করেন। উত্তরপাড়া এলাকার সমাজপতি মো. ফরিদ বলী ও মোহাম্মদ আলী সহ এশাধিক ব্যক্তি বলেন, আব্দু রাজ্জাকের জীবদ্দশার পর তার ছেলে মান্নান চাষাবাদ করে ভোগ দখল করে আসছেন। ফরিদ বলি বলেন, তার কাছ থেকে লাগিয়ত ও বর্গা নিয়ে বেশ কিছু বছর চাষাবাদ করেছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি মান্নান চাষাবাদ করছে। এর মধ্যে রাতে আধারে পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু চিহ্নিত লোক তার জমি দখলের পায়তারা করছে।
এ ব্যাপারে বাধা প্রদানকারী ও প্রতিপক্ষের জেঠা গোলাম সরওয়ার বলেন, ১৯৭৬ সালে আমার ও গোলাম কিবরিয়া থেকে ওই সম্পত্তি ক্রয় করে আমাদের পিতাসহ দখল বুঝিয়ে দেয় আব্দু রাজ্জাককে। তখন থেকে ক্রেতা ভোগ দখল করে যাচ্ছে। আমার ভাইয়ের ছেলেরা অবৈধভাবে বাধা প্রদান করে যা করছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।
এ ব্যাপারে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আদালতের আদেশ মতে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।