শিরোনাম :
বড় ছেলে জিহাদ এর জন্মদিনে বাবা শামসুর অনুভূতি! মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ গুম কমিশনে গিয়ে তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ নেতা ফেরদৌস কে আইনের আওতায় আনার দাবী অপহরণ নাটক সাজিয়ে টেকনাফে সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা  সাবেক এমপি বদির সঙ্গে বিরোধে ক্রসফায়ারে খুন কাউন্সিলর একরাম টেকনাফের মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর অ’স্ত্রসহ গ্রেফতার কোস্ট গার্ড-ডাকাতদলের গোলাগুলি, অস্ত্র-গুলিসহ একজন আটক পালংখালী জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন কক্সবাজার কারাগারের জেলার আবু মুছার নেতৃত্বে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব! 
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

প্রকল্প ও নদীর সৌন্দর্যে মাতারবাড়ি এখন দর্শনীয় স্থান

নিউজ ডেস্ক / ৯৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

নাগরিক জীবনের ক্লান্তি থেকে একটুখানি পালিয়ে বেড়ানোর কোনো জায়গা নেই– এ অভিযোগ প্রায়ই মানুষের । এখানে খোলামেলা জায়গার কমতি আছে ঠিকই, তবে এখনও বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে হেঁটে বেড়ানোর আরাম পাওয়া যায়, নীরব সূর্যাস্ত উপভোগের সুযোগ আছে, চাইলে নৌকা যোগে ঘুরে বেড়ানো যায়।

 

মহেশখালী মাতারবাড়ির কয়লাবিদুৎ সংলগ্ন কোহেলিয়া সেতুর পশ্চিম পাশে কোহেলিয়া ঘাঁ ঘেষে দৃষ্টি নন্দিত সড়ক (নতুন পর্যটন স্পট)। সড়কের পূর্ব পাশে পাশেে কোহলিয়া। কোহেলিয়া সেতু থেকে প্রায় ৩ কি.মি দুরে গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ির কয়লাবিদ্যুৎ এর দৃষ্টি নন্দন গেইট।

 

এখানে ভালো সময় কাটানোর বেশ কিছু উপসঙ্গও আছে, তবে শান্তিতে হেঁটে বেড়ানোর জন্য রাস্তাটি সবচেয়ে সুন্দর।

 

সূর্যাস্তের আগে আগে প্রথম প্রকল্পের গেইটে পৌঁছতে পারলে শান্ত বিকেলের স্পর্শে হেঁটে বেড়ানো যাবে।

 

মনে হবে যেন কোহেলিয়া নদীর উপরই হেঁটে যাচ্ছেন।

খুব বেশি হলে তিন কিলোমিটার সড়কটিতে হাঁটার সঙ্গে নদীর সুন্দর দৃশ্য অনিন্দ। চোখ লেগে যাবার মতো।

কোহেলিয়া ব্রিজের উপরে গোল চক্কর। যেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রায় তৈরি। সব দিকের দৃশ্যই মনোরম।

 

একদিকে নদী, অন্যদিকে দিগন্তের রথে চড়ে মোহময় সূর্যের আলোক ছটা। অপরপ্রান্তে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্প কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পাশের কোহেলিয়া নদীটিতে কখনো জল, কখন শুকনো মাটি– কখনো বা খড়ের গাদা দেখে মন মিশে যায় এখানটাই।

 

মানুষের নৃত্য ব্যস্ততা থেকে এক টুকরো প্রশান্তি উপহার দেবে, আর সেইসঙ্গে কোহেলিয়া নদী মনে করিয়ে দেবে– নদীটির হারিয়ে যাওয়ার গল্প। আর ১০ বছর পরও নদীটি এখনও অবস্থাতেও থাকবে কি না, তা নিয়ে ভাবনা আসবে মাথায়।

 

এলাকাবাসী জানান– কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প ও কোহেলিয়া সেতু দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসে। এখানের স্থানীয় মানুষের নেই কোন কর্মসংস্থান। তাই এখানে যদি নতুন পর্যটন কেন্দ্রটি পর্যটকদের আকর্ষণ ছাড়াও স্থাপন করা হয় তাহলে এখানের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

 

অপর বাসিন্দা রফিক বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদের চলার কোন পথ নেই। আমরা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ বাড়িতে কাজ করে কষ্ট করে সংসার চালাই। এখানে যদি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হয় তাহলে আমরা কমপক্ষে পানি বিক্রি করে হলেও আমাদের সংসার চালাতে পারবো।

রাঙ্গামাটি থেকে আসা পর্যটক সালাহ উদ্দিন বলেন-কর্মব্যস্ততায় কোথাও ঘুরতে যাওয়ার তেমন সময় পান না। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প দেখতে ছুটে আসলাম। প্রকৃতির একান্ত সান্নিধ্যে সময় কাটাতে বেশ ভালোই লাগছে।নদীর পাড়ে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সময় কাটছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!