ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৪২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ১৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশাল বিভাগে একজন, ঢাকা উত্তর সিটিতে একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির হাসপাতালে একজন এবং খুলনা বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী ও এক শিশু রয়েছেন। পুরুষদের একজনের বয়স ৩১ থেকে ৩৫ বছর, একজনের বয়স ৬৬ থেকে ৬০ বছর। নারীদের একজনের বয়স ৫৬ থেকে ৬০, একজনের ৭৬ থেকে ৮০ বছর এবং মেয়েশিশুর বয়স ৬ থেকে ১০ বছর। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৯ দিনে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১১১, চট্টগ্রামে ১২৮, ঢাকা বিভাগে ১৮৩, ঢাকা উত্তরে ১৮৭, ঢাকা দক্ষিণে ১৬০, খুলনায় ১৪৫, ময়মনসিংহে ৩৬, রাজশাহীতে ৬৫, রংপুরে ১২ এবং সিলেট বিভাগে ৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ১৯ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৭ জন।
তা ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ১০ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৭১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন। মারা যান ৩ জন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন। মারা যান ৫ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন। মারা যান ২ জন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন। মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন। মারা যান ৮ জন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন। মারা যান ১২ জন।
আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন। মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন। মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। মারা যান ১৩৪ জন।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। এ বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২০২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে তেমন একটা ডেঙ্গুর প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।