ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের মানুষ। মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে বিমান হামলা ও মর্টারশেলের বিকট শব্দে কাঁপছে এপার। এক সাপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বিমান হামলা ও মর্টারশেলের বিকট শব্দ আতকে উঠছে সীমান্তে বসবাসকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, মায়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকার খাইংখালী, পালংখালী, রহমতের বিল, আঞ্জুমান পাড়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে বিমান ও মর্টারশেল হামলার শব্দে কেঁপে উঠছে উখিয়া টেকনাফের সীমান্তরে বাড়িঘর।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাট্যং পাড়া এলাকার বাসিন্দা আরফাত সানি জানান, মায়ানমারে চলমান যুদ্ধে এমন শব্দ কোনো দিন শুনিনি। মনে হয় বাংলাদেশে সীমান্তে এসে পড়ছে। সীমান্তরে একদম পাশে আমার বাড়ি। তবে এতো বিকট শব্দ কোনদিন শুনতে পাইনি।
পালংখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিক বলেন, কিছুদিন মায়ানমারে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও রাত থেকে আবারও গুলি ও মর্টার শেলের শব্দে আতঙ্কে রয়েছি। গত এক বছর ধরে চলছে এই যুদ্ধ।
শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে বসবাসকারী ইসমাইল বলেন, বিমানে নাফ নদীর ওপর দিয়ে ঘুরে হামলা চালাতে দেখা গেছে। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে এপার, এতে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চলমান সংঘাতের কারণে নতুন করে রোহিঙ্গা নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারবে বিজিবির নিয়মিত টহল রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে