শিরোনাম :
বড় ছেলে জিহাদ এর জন্মদিনে বাবা শামসুর অনুভূতি! মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ গুম কমিশনে গিয়ে তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ নেতা ফেরদৌস কে আইনের আওতায় আনার দাবী অপহরণ নাটক সাজিয়ে টেকনাফে সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা  সাবেক এমপি বদির সঙ্গে বিরোধে ক্রসফায়ারে খুন কাউন্সিলর একরাম টেকনাফের মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর অ’স্ত্রসহ গ্রেফতার কোস্ট গার্ড-ডাকাতদলের গোলাগুলি, অস্ত্র-গুলিসহ একজন আটক পালংখালী জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন কক্সবাজার কারাগারের জেলার আবু মুছার নেতৃত্বে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব! 
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

২ হাজার কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

নিউজ ডেস্ক / ১১৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার জেলায় সুপারি চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন ও অনুকুল আবহাওয়া থাকায় দিন দিন এ অঞ্চলে বাড়ছে সুপারি উৎপাদন। এতে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। জেলায় সবচেয়ে বেশি সুপারির চাষ হয়ে থাকে উখিয়া-টেকনাফে। যেখানে এ বছর ২২৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়েছে।

 

কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, চলতি বছর ২ হাজার কোটি টাকার মতো সুপারি উৎপাদন হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সুপারির গুণগতমান ভালো হওয়ায় তা জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ’র মত সুপারি গাছ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি সুপারি উৎপাদনের এলাকা উখিয়া-টেকনাফ। এখানকার সুপারিতে কোন ধরনের কষ নেই। খেতেই নারিকেলের মতো। এজন্য কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার উপকূলীয় এলাকার সুপারির চাহিদা আছে সারাদেশে

 

তিনি বলেন, সুপারি একটি সম্ভাবনাময় ফসল। কিন্তু সুপারি উন্নয়নের জন্য এখনও কোনো প্রকল্প বা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়নি। সুপারির জাত উন্নয়নে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি চাষিদের মাঝে উন্নত জাতের চারা বিতরণ করা হলে সুপারি উৎপাদন আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন তিনি।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অঞ্চলে সুপারিভিত্তিক শিল্প-কারখানা ও প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র গড়ে তোলা গেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আরও লাভবান হবেন সুপারি চাষিরা।

 

জেলায় এ বছর ১ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি। যার বাজার মূল্য ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। চকরিয়া ৮০ হেক্টর, পেকুয়া ৭, রামু ৩২০, কক্সবাজার সদর ১০০, উখিয়া ৯৭০, টেকনাফ ১২৮০ ও মহেশখালী ৫ হেক্টর এবং কুতুবদিয়াতে সুপারির কোন চাষ হয়নি। শুকনা অবস্থায় কেজি প্রতি ৩শ থেকে সাড়ে ৩’শ টাকা হিসেব করলে যার বাজার দর দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি।

 

স্থানীয় সুলতান আহমেদ সহ অন্যান্য চাষীরা বলেন, তিন ধরণের সুপারি বিক্রি হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতে গাছের লাল সুপারীতে একরকম দাম পাওয়া যায়। এরপর জাগ দিয়ে ভেজানো সুপারী মৌসুম শেষে আরেকটু চড়া দামে বিক্রি করা যায়। এছাড়া সুপারী শুকিয়ে মজুদ রেখে কয়েকমাস পরে খোসা ছাড়িয়েও বিক্রি করা হয়। বলতে গেলে এক মৌসুমের সুপারী ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সারা বছরই সুযোগমতো বিক্রি করে বাগান মালিকরা বাড়তি উপার্জন করে থাকে।

 

সুপারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর যেখানে প্রতি কন (১৬ পন) সুপারি বিকিকিনি হতো ১৫০০-১৬০০ টাকা। এবার তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকায়। প্রতি পন (৮০ পিস) সুপারি এখন প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০- ৩৫০ টাকায়। অবশ্য মৌসুমের শুরুতে প্রতি পন সুপারি বিক্রি হয়েছিলো ২০০-২৫০ টাকা। এখানকার উৎপাদিত সুপারি মানের দিক থেকে ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে করে বাজার দর ভালো পাওয়ায় খুশি সুপারি চাষিও ব্যবসায়ীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!