শিরোনাম :
টেকনাফে খালের জমি ভরাট করে নির্মাণাধীন স্থাপনা নির্মাণ: উপজেলা প্রশাসন চুপচাপ কেন? নেশার টাকার বলি হলো ৪ বছরের মেয়ে, বাবা গ্রেফতার টেকনাফে অপহরণকারিদের সাথে যৌথ বাহিনীর মধ্যে গুলা গুলি: অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হাসিনার পালানোর দৃশ্য পাচ্ছে বিশেষ স্থান জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতি নিয়ে জটিল সমীকরণ রাজনীতিতে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘোষণা ১৮ জুলাইকে স্মরণে ‘অন্ধকার’ পাহাড়ে এখন পর্যটনের হাতছানি বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারস্থ এলাকায় ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ইয়াবা ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকে মিথ্যা ও মানহানিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাবেক মেয়র ইসমাইল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি: ৩৬ দিনের কর্মসূচি শুরু আজ টেকনাফে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পেতে প্রয়োজন আলাদা বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

টেকনাফে অপহৃত ৯ কৃষক ‘মুক্তিপণে’ ছাড়া পেলেন

শহিদ উল্লাহ (শহিদ) / ১৯৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪

অপহরণের দুদিন পর কক্সবাজারের টেকনাফের ৯ কৃষক ফিরলেও এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। পুলিশের দাবি, পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে অপহরণকারি চক্র এদের ছেড়ে দিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন ভিন্ন কথা, গোপনে স্বজনরা মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর অপহরণকারীরা তাদের ছেড়ে দেয়।

 

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে অপহৃত দুই রোহিঙ্গাসহ ৯ জন এলাকায় ফিরেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আনোয়ারী। তিনি জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচি পাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে এই কৃষকদের অপহরণ করা হয়। এরপর জনপ্রতি দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহৃতদের পরিবারে ফোন করা হয়েছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গোপনে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করার পর এদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, তবে স্বজনরা কত টাকা এবং কাকে মুক্তিপণ দিয়েছে এটি বলতে রাজি হচ্ছে না।

 

অপহৃতরা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। তবে দুই রোহিঙ্গার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

 

 

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন অপহৃত ৯ জনকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার অপহরণের বিষয়টি জানার পর পুলিশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পুলিশ পাহাড়ে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রাখায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা এদের ছেড়ে দিয়েছে।

 

মুক্তিপণ পরিশোর বিষয়টি তিনি জানেন না দাবি করে বলেন, ফেরা কৃষকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্য বলছে, এ নিয়ে গত একবছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৫ জনের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৮জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৭৮ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!