শিরোনাম :
ঝুঁকিপূর্ণ টেকনাফে শতবর্ষী ‘রেইন ট্রি’ কাটার দাবি বেনজীর-হারুনদের ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে সরকার নিরীহ লোকদের আসামি করা হচ্ছে এমন মন্তব্য করেআইজিপি রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব জামায়াতের দেশে ‘মানবিক করিডর’ দেবে রাখাইনের জন্য “চট্টগ্রামস্থ টেকনাফ স্টুডেন্টস ফোরাম” এর আত্মপ্রকাশ টেকনাফ দমদমিয়া আলোর পাঠশালায় অভিভাবক সমাবেশ শেড ও একশন এইডর সহযোগীতাত এক্টিভিস্টা টেকনাফর আয়োজনে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত টেকনাফে অপহরণকারীদের সাথে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, একজন গুলিবিদ্ধ টেকনাফে নাজিবুল্লাহ নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করলো রোহিঙ্গা
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

রাঙামাটিতে হলুদের বাজার মূল্য প্রায় ২শ’ কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক / ১১১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

মৌসুমের শেষ দিকে এসে রাঙামাটির বাজারে দাম বেড়েছে শুকনো হলুদের। গতবারের চেয়ে এবার দাম দ্বিগুণ। প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায়। যা খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা কেজি দরে।

পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। এরমধ্যে রাঙামাটির বিস্তীর্ণ জমিতে প্রচুর হলুদের আবাদ হয়। সনাতন পদ্ধতিতে জুম চাষিরা সাথী ফসল হিসাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন হলুদের।

চৈত্র-বৈশাখ মাসে লাগানো হলুদ থেকে ১০ মাসেই পাওয়া যায় ফলন। উৎপাদন খরচ কম, স্বল্প পরিশ্রমে লাভও বেশি। মৌসুমে সাধারণত মণ প্রতি ৩ হাজার ২শ’ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিকে রাঙামাটির বাজারে দাম বেড়েছে শুকনো হলুদের। গত বছরের চেয়ে দর এবার দ্বিগুণ। মণ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায়। আর খুচরা বাজারে ৩শ’ টাকা কেজি।

চাষিদের একজন বলেন, ‘৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম থাকলে কৃষক লাভবান হবে। গত বছর থেকে এই বছর ডাবল দামে বিক্রি হচ্ছে।’

রঙ, স্বাদ, সুগন্ধির কারণে পাহাড়ে উৎপাদিত হলুদের চাহিদা দেশজুড়ে। এখান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ সারা দেশে সরবরাহ হচ্ছে মসলা জাতীয় এ পণ্যটি। ডলার সংকটে আমদানি কমায় দাম বেড়েছে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, এই এখানকার হলুদের মান অনেক ভালো। এই কারণে রাঙামাটি হলুদ কিনতে আসি।

রাঙামাটির পাহাড়ে শিলং, পাবনা ও দেশি জাতের হলুদের চাষাবাদ হয় বেশি। তবে ভালো মানের হলুদ চাষের পরামর্শ দেয় কৃষি অফিস।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এবছর ২ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। এবার আমরা ৭ হাজর ৬শ’২৫ মেট্রিকটন হলুদ পেয়েছি। প্রতি কেজি হলুদ পাইকারি মূল্য ২শ’ ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।’

চলতি বছর রাঙামাটি জেলায় সাড়ে ৭ হাজার টন হলুদ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২শ’ কোটি টাকা।

পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি পতিত জমিতে বিপুল সম্ভবানাময় মসলাজাতীয় ফসল এই হলুদের চাষ বাড়ানো গেলে আমদানি নির্ভরতা কমবে। সাশ্রয় হবে দেশীয় অর্থের। এতে স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিও হবে সমৃদ্ধ। এজন্য সরকারি বেসরকারি বিশেষায়িত পরিকল্পনা নেয়ার দাবি এ খাত সংশ্লিষ্টদের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!