টেকনাফ টিভি ডেস্ক:::
টেকনাফের দূর্গম নয়াবাজার-খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার হতে মাদকের চালান এনে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ৪জন মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে ইয়াবা, অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, ২৮জুলাই (মঙ্গলবার) ভোরের দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী-নয়াবাজার দূর্গম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বড় ধরনের একটি মাদকের চালান আসে। দু’পক্ষের মধ্যে এই মাদকের চালানের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষ এবং গোলাগুলি শুরু হয়। খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাঁচার পাড়া পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৫০হাজার ইয়াবা, ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৪ রাউন্ড তাঁজা বুলেটসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নয়াবাজার পূর্ব সাতঘরিয়া পাড়ার নুর আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইসমাঈল ওরফে ইমাইন্যা (২৫), পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত হাকিম আলীর পুত্র মোঃ আনোয়ার (২৪), মৃত আব্দুস সালামের পুত্র নাছির (২৩) এবং হোয়াইক্যং আমতলী ঘোনার পাড়ার আব্দুল মালেকের পুত্র আনোয়ার হোসেন (২৫) কে উদ্ধার করে।
তাদের দ্রæত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান হতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবুও থামছেনা এই জনপদের মাদক কারবারীদের অপতৎপরতা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে মাদকের চালান নিয়ে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তদন্ত স্বাপেক্ষে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য,ইয়াবা গডফাদার নুর হাফেজ মারা যাওয়ার পর তার ভাই মোঃ নুর এখন শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট এবং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার হেলাল, ফয়েজ উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শেখ শাহ আলম, ভেক্কা, নবী হোছন, জাবের, শাহজাহান, সরওয়ার, মোঃ আলী, পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়ার গুরা পুতিয়া, আমির হোছন, জমিলা,
ছেনুয়ারা, নবী হোছন, রফিক, তারেক, বাদশাসহ চিহ্নিত ৩০/৩৫জনের মাদক কারবারীরা এখনো মাদকের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একাধিক সুত্রের দাবী
© টেকনাফ টিভি.কম | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | ২০১৯ ওয়েব ডেভেলপার : ফ্রিল্যান্সার আজাদ খান
Leave a Reply