কক্সবাজারের টেকনাফে নৌবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এক অপহৃতকে উদ্ধার এবং তিন অপহরণ কারিকে আটক করা হয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাতটি গুলি।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালুখালী নামক এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে।
আটক হেলাল উদ্দিন একই এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রোপচার সহ নানা অভিযোগে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া আরেফুল ইসলাম শুভ নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি টেকনাফে কাজের সন্ধানে এসে অপহরণের শিকার হয়েছেন।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের একটি গোপন আস্তানায় অপহৃত এক ব্যক্তিকে জিম্মি রেখে মুক্তিপণ দাবির খবরে নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩/৪ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।
এসময় ধাওয়া দিয়ে অপহরণ চক্রের মূল হোতা এবং মাদক ও অস্ত্র কারবারি হেলাল উদ্দিনকে তার ২ সহযোগীসহ আটক করা হয়। পরে তার বাসা থেকে অপহরণের শিকার নরসিংদীর মনোহরদি উপজেলার বাসিন্দা আরেফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে হেলাল উদ্দিনের বসত ঘর সংলগ্ন এলাকায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় দেশীয় তৈরি ৪ টি বন্দুক এবং ৭ টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
গিয়াস উদ্দিন জানান, অপহরণের শিকার ওই ব্যক্তি গত ৩ মার্চ নরসিংদী থেকে কাজের সন্ধানে টেকনাফের বাসিন্দা জনৈক মজিবের নিকট আসেন। কিন্তু মজিব তাকে কাজ না দিয়ে হেলাল উদ্দিন এর আস্তানায় একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। চক্রটি অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।