জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আজ (শুক্রবার) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। নতুন দল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বড় জমায়েতের পরিকল্পনা করেছে উদ্যোক্তারা।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ উপদেষ্টাদের। এছাড়া, বিএনপি-জামায়াতসহ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকেও আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ ঢাকায় নিযুক্ত ৫১ দেশের কূটনীতিকদেরও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যমুনায় গিয়ে সরকারপ্রধানের হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন এনসিপির নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম সাইফ মুস্তাফিজ প্রধান।
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, ৩৬টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিএনপিসহ কয়েকটি দল দাবি করছে, ছাত্রনেতাদের এ দল গঠনে সরকারের সহযোগিতা রয়েছে এবং এনসিপিকে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিতর্ক এড়াতে উপদেষ্টাদের কেউই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না বলে জানা গেছে। ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।