কক্সবাজার টেকনাফ বাহার ছড়া পাহাড়ী স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী আবারও দুইজন কে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তবে মুক্তিপণ হিসেবে এই দুজনের পরিবারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে পরিবারের জানান।
অপহৃত দুই জন হলেন, উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার আবছার আহমদের ছেলে আহমদ উল্লাহ (৪৮) ও আবদুস সালামের ছেলে জসিম উদ্দিন (১৮)।
ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানাযায়, তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর গতকাল রাতে সন্ত্রাসীরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। অপহৃরিত আহমদ উল্লাহর কাছ থেকে ২০ লাখ ও জসিম উদ্দীনের পরিবারের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মুক্তিপণের টাকা থাকা দিতে না পারলে দুইজনের লাশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হলে তাদের লাশ গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকার জন্য হুমকি দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড় থেকে এই ২ জনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউনিয়ন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে তারা দুইজন গরু নিয়ে পাহাড়ের পাশে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে গভীর পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন।
তবে ওইদিন সন্ধ্যা র্পযন্ত সন্ত্রাসীরা কোনো ধরণের ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেনি। এ বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুইজনের পরিবারের কাছে ফোন করে সন্ত্রাসীরা পৃথকভাবে ২৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে আসছে সন্ত্রাসীরা।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রতিনিয়ত লোকজনকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে পাহাড়ের আস্তানায় নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। এলাকার লোকজন পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পাহাড়ে অভিযান চালানোর জন্য হ্নীলা, হোয়াইক্যং ও বাহারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা সরকারের কাছে জোড় দাবি জানাচ্ছে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন শাহ জানান, জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে খবরটি পাওয়ার পর পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওযা যায়নি। জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পারলাম ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।