শিরোনাম :
বড় ছেলে জিহাদ এর জন্মদিনে বাবা শামসুর অনুভূতি! মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ গুম কমিশনে গিয়ে তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ নেতা ফেরদৌস কে আইনের আওতায় আনার দাবী অপহরণ নাটক সাজিয়ে টেকনাফে সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা  সাবেক এমপি বদির সঙ্গে বিরোধে ক্রসফায়ারে খুন কাউন্সিলর একরাম টেকনাফের মাদক কারবারি জাহাঙ্গীর অ’স্ত্রসহ গ্রেফতার কোস্ট গার্ড-ডাকাতদলের গোলাগুলি, অস্ত্র-গুলিসহ একজন আটক পালংখালী জামায়াতের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন কক্সবাজার কারাগারের জেলার আবু মুছার নেতৃত্বে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব! 
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

উখিয়ায় শিশুকে গর্তে পুঁতে মুক্তিপণ দাবি, ভিডিও ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক / ৯১ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫

শিশুটির বয়স অনুমানিক ৬ বছর। শরীরের গলা থেকে নিচের অংশ মাটির একটি গর্তে পুঁতে রেখেছে। শিশুটির চোখে-মুখে ভয়। এই অবস্থায় রোহিঙ্গা ভাষায় শিশুটি তার বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলছিল, ‘আব্বা তরাতরি চেষ্টা গর। মরে গাতত গলায় পিল্লে। টিয়া দে (বাবা দ্রুত চেষ্টা কর, আমাকে গর্তে পুঁতে ফেলেছে, টাকা দাও)।

 

এমন একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর পরপরই ভিডিওটি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করতে থাকেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

 

আর সেই ভিডিও উৎস জানতে পুলিশ, রোহিঙ্গা নেতা সহ একাধিক জনের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ১৫ সেকেন্ডের এই ভিডিও ১০ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার অজ্ঞাত স্থানে ধারণ করা। ভিডিওর শিশুটির নাম মোহাম্মদ আরাকান (৬)। সে থাইংখালী-১৯ নম্বর রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি ১৫ ব্লকের বাসিন্দা আবদুর রহমান ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে। ৮ জানুয়ারি আরাকান ক্যাম্পের খেলার মাঠ থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর ১০ জানুয়ারি তার মা–বাবা এই ভিডিও বার্তা পান।

 

নিখোঁজ আরাকানের সন্ধানে এর আগেই তার মা–বাবা থানায় জিডি করেছিলেন। ভিডিও বার্তা পাওয়ার পর তাঁরা নিশ্চিত হন, তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।

 

অপহরণকারীরা আরাকানের মুক্তির বিনিময়ে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারীদের কথা অনুযায়ী দেখিয়ে দেওয়া স্থানে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন আরাকানের স্বজনেরা। এতেও আরাকানকে না ছাড়ায় ধারদেনা করে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেন তাঁরা। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুতুপালং এলাকার এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালের সামনে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।

 

 

শিশুটির বাবা আবদুর রহমান জানান, ৮ জানুয়ারি বেলা দুটার দিকে এপিবিএন অফিসসংলগ্ন খেলার মাঠে খেলতে গিয়ে আর ফেরেনি আরাকান। দুদিন ধরে আরাকানের সন্ধানে তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরেছেন। পুলিশের কাছেও গেছেন। এপিবিএনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। এরপর ১০ জানুয়ারি দুটি মুঠোফোন (০১৭৬-৬৫৭৫৪৬৬ ও ০১৮৯৮-৮২১৪২৯) নম্বর থেকে কল দিয়ে বলা হয়, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাড়িয়ে নিতে হলে সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না পেলে ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন তাঁরা।

 

আবদুর রহমান আরও বলেন, অপহরণকারীরা দাবি করা টাকার জন্য ছেলেকে মাটিতে পুঁতে রেখে ভিডিও করে। আমার স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি করে প্রথমে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই। এরপরও তাকে না ছাড়ায় ক্যাম্পের আত্মীয়স্বজনসহ অন্যান্য লোকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পাঠাই। ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমএসএফ হাসপাতালের সামনে আরাকানকে ফেলে যায় তারা।

 

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখে অনেক ব্যবহারকারী টেকনাফ-উখিয়া এলাকার সাম্প্রতিক অপহরণ বাণিজ্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৮৬ জনকে অপহরণ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!