রাতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তার মাথা নিজ মুদির দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কক্সবাজার টেকনাফের বাহার ছড়া থেকে অপহৃত জসিম উদ্দিন ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে ১০ দিন পর ছাড়া পেয়েছে বলে জানান তার স্বজনরা। অপহরণকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে ৩০ লাখ টাকায় জমি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানান তারা।
টেকনাফ বাহারছড়ার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন গত বুধবার ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে জসিম উদ্দিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।তিনি জানিয়েছেন, গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১১ টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের বড় ডেইল এলাকার বাসিন্দার নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
রাতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১৫-২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে দক্ষিণ বড় ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাস্তার মাথা নিজ মুদির দোকান থেকে জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অপহরণের পর সন্ত্রাসীদের পক্ষে থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বিভিন্ন ধরনের নিযাতর্ন ও মারধর করে পরিবারের কাছে ভিডিও বাতা পাঠানো হয়। অবশেষে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে ছেড়ে দেন। তার শরীরের বিভিন্ন ধরনের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাকে বর্তমানে চট্টগ্রামে নিয়ে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি পুলিশকে। তবে থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।