বিচার আইনে প্রতিদিনের কাগজ এর সাংবাদিক মুন্নার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিক ফয়সাল হাওলাদার বলেছেন- কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূইয়া গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় দ্রুতবিচার আইনে কক্সবাজারের প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টারকে গ্রেফতার ও আটকের পর নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে, থানার একজন ওসির দুর্নীতির খবরও প্রকাশ করা যাবে না- প্রকারান্তরে গণমাধ্যমকে এমন বার্তাই দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেকের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক বলেন, বাস্তবে এমন আশঙ্কা সত্য হলে তা হবে পুরো জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের অত্যাচার-নির্যাতন ও নাজেহাল করেও চকরিয়া থানার বিতর্কিত ওসি মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন তার বিপুল পরিমাণ অর্থ সম্পদের তদন্ত শুরু না হলেও সাংবাদিকদের বাসা-বাড়ি এবং পত্রিকা অফিসে গিয়ে হয়রানি ও নাজেহাল করা হচ্ছে। সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নাকে মামলা থেকে মুক্তি ও প্রত্যাহার না করলে আগামীকাল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সারাদেশে কর্মসূচি দেবো এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে আমরা জন্য সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করব।
২৪ ডিসেম্বর প্রতিদিনের কাগজ “চকরিয়া থানায় পদায়ন নিয়ে অসন্তোষ, কক্সবাজারে কর্মকালীন দানব হয়ে উঠেছিল ওসি মনজুর কাদের “মামলার ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেন চকরিয়ার ওসি”শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া প্রতিহিংসামূলক চকরিয়া থানায় সাংবাদিক মনসুর আলম মুন্নার নামে দ্রুতবিচার আইনে মামলা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন ।