‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ’দরিয়ানগরে দিনব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ কর্মসূচি
প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে আজ দরিয়ানগর সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে “প্লাস্টিক দিয়ে বাজার নিন কর্মসূচি”। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি আজ সকাল ১০ টায় শুরু হয়।
দরিয়ানগরের স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বসানো “প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার” এই কর্মসূচি থেকে থেকে ৩৫০ স্থানীয় দুস্থ পরিবার প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার করতে পেরেছেন। যেখান থেকে প্রায় ৩ মেট্রিক টনের বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংগৃহীত প্লাস্টিক সমূহ ১০০% রিসাইকেল করার জন্য দেশের স্বনামধন্য রিসাইকেল কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর স্থানে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে বিশাল একটি সুপারশপ বসেছে নানা রকমের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পসরা নিয়ে। মানুষ প্লাস্টিকের বিনিময়ে এসব কিনতে পারছেন। বাজারে ১ কেজি প্লাস্টিকের দাম ২০-৩০ টাকা হলেও এই বাজারে সেটির প্রায় ৫০-৮০ টাকা মুল্য দেয়া হচ্ছে। ১ কেজি প্লাস্টিক দিয়ে ১ কেজি চাল যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি ৬ টি ডিম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ কেজি প্লাস্টিকে! প্রায় ১৯ টি পণ্য থেকে নিজেরাই বাছাই করে কেনার স্বাধীনতা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক ও কক্সবাজার প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ কর্মসূচির সমন্বয়ক মো: মোবারক বলেন; একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের অস্তিত্বের হুমকি হচ্ছে প্লাস্টিক। এই পৃথিবীকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য রাখতে হলে প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে সচেতনতা ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই”!
এই বাস্তবতায় গত ৩ মাস ধরে সারাদেশব্যপী “প্লাস্টিকের বিনিময়ে বাজার” এই কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এবং গত ৭ নভেম্বর থেকে কক্সবাজার এর সুগন্ধা ও সিগ্যাল পয়েন্ট এ ৪ মাসের জন্য জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন চালু করেছে “প্লাস্টিক বিনিময় স্টোর” যেখানে পর্যটকরা ব্যবহৃত প্লাস্টিক জমা দিলেই পাবেন উপহার এবং প্রান্তিক মানুষ কুড়ানো বা জমানো প্লাস্টিক জমা দিলে পাবেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী।
এছাড়াও গত ৪ ডিসেম্বর প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কক্সবাজার সুগন্ধা সমুদ্র সৈকতে নির্মিত “প্লাস্টিক দানব” প্রদর্শনীর জন্য উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জনাব মুহাম্মদ সালাউদ্দীন।