২০ বছর আগে ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়েছে উচ্চ আদালত।
একইসঙ্গে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিল্প উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ সকল দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ এই আদেশ দেন বলে বেনারকে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মেসবাহ বেনারকে বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচ মামলায় সাজা দেয় আদালত।
জয়নাল আবেদীন বলেন, এই প্রথম সাজাপ্রাপ্ত কোনও মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই মামলার রায়ে তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীন কারাদণ্ড, বাবর ও পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করে বিচারিক আদালত।
জয়নাল আবেদীন জানান, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ আমলে মোট ৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ৬২টি মানহানির মামলা। বাকিগুলো ফৌজদারি মামলা। এর মধ্যে পাঁচ মামলায় সাজা দেয় আদালত।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বেনারকে বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা তদন্তে তারেক রহমান সাহেবের কোনও সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে একজনের বিতর্কিত ব্যক্তির জবানবন্দির ভিত্তিতে সম্পূরক অভিযোগপত্রে তাঁকে রাজনৈতিক কারণে এই মামলায় জড়িয়ে সাজা প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, আমরা খুশি যে, উচ্চ আদালত থেকে উনাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
কায়সার কামাল বলেন, তারেক রহমান সাহেবের অবস্থান হলো তিনি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা আইনিভাবেই মোকাবিলা করে নিষ্পত্তি করবেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ এক সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তৃতা শেষে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।