শিরোনাম :
৩০ ঘণ্টা পর মিলল নিখোঁজ বিজিবি বেলালের মরদেহ, বাড়িতে শোকের মাত বিএনপি নেতার হাত কর্তনকারী ৩৯ মামলার আসামি ইউপি সদস্য এনামের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন  টেকনাফে সমুদ্রে নৌকাডুবিতে এক শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মৃত্যু, বিজিবি সদস্য নিখোঁজ! আ’লীগের ৭৭০ জনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজারে মামলা টেকনাফে শ্বশুর বাড়ি থেকে যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন, হাসপাতালে মৃত্যু টেকনাফে ট্রলার থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ৭ মাদক পাচারকারীকে আটক শাহপরীর দ্বীপে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে জেলা আমীর আনোয়ারী বড় ছেলে জিহাদ এর জন্মদিনে বাবা শামসুর অনুভূতি! মিথ্যা পরিচয়ে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন আরসা নেতা আতাউল্লাহ গুম কমিশনে গিয়ে তথ্য দিলেন সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়া
সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম.... বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে সকল প্রকার সংবাদ পেতে আমাদের ওয়েবসাইট www.teknaftv.com ভিজিট করুন। ধন্যবাদ!

টেকনাফ পৌরসভা কার্যালয়টি স্থানান্তেরর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা

টেকনাফ টিভি ডেস্ক / ১১৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট সময় : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

নাফ নদী সংলগ্ন ৮নং ওয়ার্ডের লবন মাঠ এলাকায় টেকনাফ পৌরসভা কার্যালয়টি স্থানান্তেরর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা হাটহাজারী আরবী বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবায়েত হোসাইন।

 

তিনি জানান, সম্প্রতি তারা জানতে পেরেছেন বিগত সময়ে দায়িত্বশীলরা পৌরসভা কার্যালয়টি নাফ নদী সংলগ্ন ৮নং ওয়ার্ডের লবন মাঠ এলাকায় স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। যা এখন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন “টেকনাফ পৌরসভার ভবন স্থানান্তর প্রকল্পের কাজ তখনই শুরু করা যাবে যখন হাজারও ছাত্রজনতার রক্তের উপর দিয়ে কাজ শুরু করার দুঃসাহসিকতা দেখাতে পারবে পৌর কর্তৃপক্ষ।

 

বাংলাদেশের সর্বশেষ সীমান্ত টেকনাফ পৌরভবন সীমান্তের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা একটি অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য সীদ্ধান্ত মাত্র। এক নির্দিষ্ট ব্যক্তি প্রায় আড়াই কোটি টাকা (সংখ্যা ২,৪৬,৫৩০০০) ক্রয় করে পৌরসভাকে দান করার পিছনে কোন কারণ থাকতে পারে? অবশ্যই নিজের জমির দাম বৃদ্ধি করার লক্ষে এমন টেকনিক ইউজ করেছেন। জনকল্যাণের চিন্তা না করে পৌর কর্তৃপক্ষ এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির মালিকানাধীন জায়গার দাম বাড়াতে এহেন সীদ্ধান্ত নেওয়া কেবল মাত্র বোকামি ও সীমালঙ্ঘন। পৌরসভা ভবন নির্মাণের জন্য আর-ও জায়গা অবশিষ্ট আছে যা খুঁজলে পাওয়া যায়। আমার মতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়াও ভুল যার দায় শুধু দাতা নয় বরং পৌর মেয়র সহ সকল কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর বৃন্দদেরও বটে। কারণ সীদ্ধান্ত সভায় তারা অধিকাংশ সাক্ষী ও স্ব শরীরে উপস্থিত ছিল বলে নথিতে স্পষ্ট লেখা আছে।

 

দেখুন! স্পষ্ট বিষয় হচ্ছে সামনের টেকনাফ এক অন্ধকার পথে হাঁটছে। শিক্ষিত যুবকরা কর্মসংস্থান খুঁজে পাচ্ছেনা। চাকুরির বাজারও কেবল দলের নেতাদের ভাগে চলে গেলো। পাহাড় রোহিঙ্গাদের অপহরণের রাজ্যে পরিনত হলো।

 

একই সাথে স্থল বন্দরের ব্যবসাও বন্ধ হল। ৩য় বিশ্বযুদ্ধের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, এহেন পরিস্থিতিতে পৌরসভার ভবন সীমান্তবর্তী কোন স্থানে হস্তান্তর করা কেবল একগুঁয়েমি ও বিবেকহীনতা।

 

একটি পৌরসভা তাঁর নিজ কার্যলয় হবে পৌর ভূখন্ডের মাঝখানে কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ করতে চাচ্ছে সীমানায়! বিষয়টা খুবই হাস্যকর লাগছে। সারমর্ম কথা হচ্ছে, পৌর কর্তৃপক্ষ যদি ভুলেও পৌর ভবন স্থানান্তর প্রকল্প শুরু করে তাহলে যেনো তারা আমাদের লাশের উপর দিয়ে যায়।

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাবর আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে যে যথাদ্রুত এ-ই প্রকল্পটি বন্ধ করার জন্য প্রকৌশলী বিভাগের সচিব মহোদয় বরাবর যত দ্রুত চিঠি লিখুন, এই অযৌক্তিক প্রকল্প বাতিল করুন।

 

সুত্র:টেকনাফ টুডে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এজাতীয় আরো নিউজ দেখুন
error: Content is protected !!
error: Content is protected !!