বাড়তি ওজন ঝরাতে, ফিট ও সুন্দর থাকতে অনেকে ডায়েট করে থাকেন। এটা করতে গিয়ে অনেকে সকালের নাশতা পুরোপুরি বাদ দেন। অথচ এই প্রবণতা শরীরে বাধাতে পারে নানা রোগ, ডেকে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। যেমন…
ডায়াবেটিস
প্রতিদিন সকালের নাশতা বাদ দিতে থাকলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয় শুধু সকালের নাশতা বাদ দেওয়ার কারণে। এর কারণে আবার অনেকের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে নারীদের।
সকালের নাশতা বাদ দিতে থাকলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়
ওজন বৃদ্ধি
সকালে না-খাওয়ায় খিদে বাড়ে এবং দুপুরে পরিমাণে অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এই প্রবণতা ওজন কমানোর বদলে উল্টো ওজন বাড়িয়ে দেয়। ফলে মুটিয়ে গিয়ে দেহে বাধে নানা রোগ।
মুটিয়ে গেলে দেহে বাধে নানা রোগ
হৃদরোগ
স্বাস্থ্যকর সকালের নাশতা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে। সকালের নাশতা বাদ দিলে উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি সমস্যা বাড়ে। এসব কারণে একপর্যায়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর সকালের নাশতা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে
দুর্বল স্মৃতিশক্তি
সঠিক সময়ে সকালের নাশতা করলে স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতার যথেষ্ট উন্নতি হয়। অন্যদিকে সকালে পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না বলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সঠিক সময়ে সকালের নাশতা করলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়
মাইগ্রেন
সকালের নাশতা বাদ দেওয়ার ফল হতে পারে মাইগ্রেন। সারা রাত অভুক্ত থেকে সকালে কিছু না খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়।
সকালের নাশতা বাদ দেওয়ার ফল হতে পারে মাইগ্রেন
মুড সুইং
সকালের নাশতা না খেলে মনমানসিকতায় নেগেটিভ প্রভাব পড়ে। দেহের শক্তির যথেষ্ট ঘাটতি হয়। ফলে মেজাজ হয়ে যায় খিটখিটে, ঘিরে ধরে অবসাদ। তাই সকালের নাশতা বাদ নয়; বরং সঠিক সময়ে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিমাণে একটু বেশি নাশতা হওয়া চাই।
সকালের নাশতা না খেলে মনমানসিকতায় নেগেটিভ প্রভাব পড়ে