কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ৭টি হত্যাসহ ৯ মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে দুটি অত্যাধুনিক সামরিক হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি দেশিয় তৈরি শর্টগান ও চার রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এম-১৭ ব্লকে উক্ত অভিযান পরিচালনা করে গ্রেনেডসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক আরসা সন্ত্রাসী সৈয়দুল আমিন (২৪) রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এল-১৮ ব্লকের বাসিন্দা মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। তার এফসিএন নম্বর-২৭৯৪৯৪।
৮-এপিবিএনের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক খন্দকার ফজলে রাব্বী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এম-১৭ ব্লকে সশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা সদস্যরা অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, আরসার সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পালানোর সময় রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার শীর্ষ সদস্য সৈয়দুল আমিনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় শর্টগান, চার রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ব্যাগ ও প্যান্টের পকেটে থাকা দুইটি অত্যাধুনিক সামরিক হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
খন্দকার ফজলে রাব্বী বলেন, উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামিকে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে। আটক আসামি সৈয়দুল আমিনের বিরুদ্ধে সাতটি হত্যা মামলা ও দুইটি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা রয়েছে।
এদিকে সোমবার বিকেলে একই রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় ওয়ান শুটারগান এবং এক রাউন্ড ৭.৬২ চায়না রাইফেলের গুলি ও একটি এম-সিক্স সেভেন হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার পালংখালী বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির-সংলগ্ন এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৯টি অত্যাধুনিক সামরিক গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডের মধ্যে চারটি আরজেস হ্যান্ড গ্রেনেড ও পাঁচটি এম-সিক্স সেভেন হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসাইন বলেন, গ্রেনেডগুলো কোথায় থেকে এল, কীভাবে এল, কারা এর পেছনে জড়িত, সে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।